তানভীর সাবিক, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নাম কর্মকর্তা পরিষদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কি ভাবে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্য বা ভোটার হন এ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।
জানা যায়, গত ১ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদ-২০১৭ এর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেখানে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ১ ও ২ নং ভোটার হিসেবে উল্লেখ আছে যথাক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কুন্ডু গোপীদাসের নাম। অন্যদিকে এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কি ভাবে কর্মকর্তা পরিষদের ভোটার হন এ নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্ব মহলে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের গঠনতন্ত্রের ৫(খ) ধারায় বলা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কেবলমাত্র এ পরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। আবার ৪(ঙ) ধারায় বলা হয়েছে চুক্তিভিত্তিক/অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্তির সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তা এর আওতাভুক্ত হবেন না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কর্মকর্তা পরিষদে তারা কিভাবে ভোট দিবেন। তারা তো কর্মকর্তা নন। উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর, এটা ভিন্ন ফেজ। আর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেন উপাচার্য।’
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, ‘সাধারণত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ কর্মকর্তা পরিষদের সদস্য হন না। কর্মকর্তা থেকে তিনি উপাচার্য হননি। তিনি শিক্ষকদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও কর্মকর্তা পরিষদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক কুন্ডু গোপীদাস বলেন, ‘আমাদের জানা-শোনার পরিধি হয়ত কম থাকায় বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে আমরা এ তালিকা পাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘তারা সম্মান দেখিয়ে এটি করেছে তবে আমি ভোটাধিকার প্রয়োগ করব না।’
প্রতিক্ষণি/এডি/রাহা